
একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ নিতে বরিশাল-৫ আসন থেকে মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেছিলেন বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল।
ছাত্রদল থেকে বিএনপির রাজনীতিতে আসা মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল যুবদলের সাধারণ সম্পাদক ও সভাপতির দায়িত্ব সফলতার সঙ্গে পালন করেন দীর্ঘসময়।তিনি ঢাকার রাজনীতিতেও সক্রিয় বহুদিন ধরে।২০০৮সালের নির্বাচনে মোহাম্মদপুর-আদাবর আসনে নির্বাচন করেন।
তবে বিএনপি এবার তাকে বরিশাল-৫ আসনে মনোনয়ন দেয়নি। দিয়েছে বরিশাল-২ বাবুগঞ্জ আসনে।এই আসন থেকে নির্বাচন করে একবার জয়ী হয়েছিলেন আলাল।
এই আসনে এবার আলালের পাশাপাশি বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা সারফুদ্দিন সান্টুকে মনোনয়ন দেয়া হয়েছে।আর আলালের কাঙিক্ষত আসনে এবার মনোনয়ন পেয়েছেন বিএনপির আরেক যুগ্ম মহাসচিব মজিবর রহমান সরোয়ার।
রাজপথ কাপানো এই নেতা মিডিয়ায় বেশ জনপ্রিয় মুখ। সুবক্তা হিসেবে রাজনৈতিক মহলে তাঁর ব্যাপক পরিচিতি। ইলেকট্রনিক মিডিয়ায় নিয়মিত টক-শো করেন তিনি।
টক শো-তে বহুদিন ধরে বলে আসছিলেন বিএনপি জনগণের ভোটের অধিকার রক্ষায় এবার নির্বাচন করবে। শেষ পর্যন্ত ভোটের মাঠে থাকবে।
যিনি সবসময় নির্বাচনের পক্ষে তিনিই শেষ পর্যন্ত ভোট করছেন না। গতকাল মনোনয়নপত্র জমা দেয়ার শেষ দিনে তিনি কোনো আসনেই মনোনয়ন জমা দেননি।
দলীয় মনোনয়ন পেয়েও কেন তিনি নির্বাচন করছেন না তা নিয়ে রাজনৈতিক মহলে নানা কথা হচ্ছে।
কেউ কেউ বলছেন, কাঙিক্ষত আসন বরিশাল-৫ সদর আসনে মনোনয়ন না পাওয়া নাখোশ হয়েছেন আলাল। কারণ তিনি আগেই বলে রেখেছিলেন যেন, ওই আসনে দলীয় মনোনয়ন না পেলে ভোট করবেন না।
তবে মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল বলছেন ভিন্ন কথা। এ বিষয়ে তিনি গতকাল বুধবার ঢাকার একটি ইলেকট্রনিক মিডিয়াকে বলেন, বিএনপির দুই শীর্ষ নেতা খালেদা জিয়া ও তারেক রহমান নির্বাচন করতে পারছেন না। তাদের একজন কারাবন্দি অন্যজন নির্বাসিত। এমতাবস্থায় জাতীয়তাবাদী আদর্শের একজন কর্মী হিসেবে তিনি নির্বাচন করতে পারেন না।
আলালের ভাষ্য, ‘খালেদা জিয়া ও তারেক রহমান তারা আমাদের জাতীয়তাবাদী শক্তির মূল অনুপ্রেরণার উৎস, উজ্জীবনী শক্তি তারা যে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে না পারলে আমিও সে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে আগ্রহী নই। এই জন্যই আমি মনোনয়ন পত্র দাখিল করেনি।
অনলাইন বাংলা নিউজ বিডি :/ সাহাজুল ইসলাম
Leave a Reply