
জঙ্গিগোষ্ঠীর অপতৎপরতা ছড়িয়ে পড়ছে বিভিন্ন দেশে। এরা এক শ্রেণীর ধর্মান্ধদের আশ্রয় করে বাড়িয়ে তুলছে নিজে গোষ্ঠীর শাখা প্রশাখা। এবার এমনই এক ঘৃণ্য কর্মকান্ডের সাক্ষী হয়ে রইলো নাইজেরিয়া।
নাইজেরিয়ার ইয়োবে প্রদেশের দাপচির একটি স্কুল, গভর্মেন্ট গার্লস সায়েন্স অ্যান্ড টেকনিক্যাল কলেজে গত সপ্তাহের সোমবার রাতে বোকো হারাম হানা দেয়। সেখান থেকে অপহৃত করা হয় ১১০ ছাত্রীকে। জঙ্গি গোষ্ঠী বোকো হারামের হাতে অপহৃত এই ১১০ ছাত্রীকে উদ্ধারে ব্যাপক তৎপরতা শুরু করেছে দেশটির সরকার। এ ঘটনাকে জাতীয় দুর্যোগ আখ্যা দিয়ে দেশটির প্রেসিডেন্ট মুহাম্মদ বুহারি ওই কিশোরীদের পরিবারের কাছে ক্ষমা চেয়েছেন।
ইতিমধ্যে সরকার ওই এলাকায় অতিরিক্ত সেনা মোতায়েন করেছে এবং অপহৃতদের উড়োজাহাজের মাধ্যমে সন্ধান চলছে। জঙ্গিগোষ্ঠী বোকো হারামের সদস্যরা গত সপ্তাহে একটি স্কুলে হামলা চালিয়ে ওই কিশোরীদের অপহরণ করে নিয়ে যায়। বোকো হারামের হাত থেকে বাঁচতে শিক্ষার্থী ও শিক্ষকরা আশেপাশের ঝোপঝাড়ে লুকিয়ে পড়ে। প্রথম দিকে কর্তৃক্ষ অপহরণের বিষয়টি অস্বীকার করে জানিয়েছিল, ওই সব ছাত্রী আতঙ্কে হয়তো কোথাও লুকিয়ে আছে। রবিবার কর্তৃপক্ষ স্বীকার করতে বাধ্য হয়, হামলার পর ১১০ ছাত্রী নিখোঁজ রয়েছে।
প্রেসিডেন্ট মুহাম্মদ বুহারি এ ঘটনাকে জাতীয় বিপর্যয় বলে উল্লেখ করেছেন। তিনি এর জন্য অপহৃত ছাত্রীদের পরিবারের সদস্যদের কাছে ক্ষমা প্রার্থণা করেছেন। ডাপাচির এলাকার ওই স্কুলের নিকটবর্তী চেকপোস্ট থেকে সেনাসদস্যদের প্রত্যাহারের এক মাসের মধ্যেই বোকোহারামের সদস্যরা এই ভয়ালযজ্ঞ চালায়। এতে ওই কিশোরীদের পরিবারসহ স্থানীয়দের মধ্যে ক্ষোভ দেখা দিয়েছে। অবশ্য এমন ঘটনা এবারই নতুন নয় নাইজেরিয়ায়। এর আগে ২০১৪ সালে এক স্কুলে হানা দিয়ে চিবোকের ২৭৬ জন স্কুলছাত্রীকে অপহরণ করেছিল বোকো হারাম জঙ্গিরা।
এদের মধ্যে দেড় শতাধিকের মুক্তি মিললেও আরো ১০০ জনের খোঁজ এখনো মেলেনি। নতুন এই ভয়াল হামলায় অপহরণ করে নেয়া শিক্ষার্থীর অভিভাবক সহ সমগ্র দেশটিই এখন আতঙ্ককের মধ্যে রয়েছে। এই ১১০ জনের মধ্যে কতো ছাত্রীকে খুঁজে পাওয়া যাবে, কিংবা আদৌ কেউ ফিরবে কি না কেউ বলতে পারছে না।
অনলাইন বাংলা নিউজ বিডি :/ এস এস
Leave a Reply