
রোববার কুর্মিটোলার শহীদ রমিজ উদ্দিন ক্যান্টনমেন্ট কলেজ প্রাঙ্গণে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে কলেজ সঙ্গলগ্ন সড়কে আন্ডারপাসের ভিত্তিপ্রস্তুর স্থাপন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি জনগনকে গুজবে কান না দিয়ে সবাইকে ধৈর্য্য ধরার আহ্বান জানান।
অনুষ্ঠানের শুরুতে আন্ডারপাস নির্মাণ প্রকল্পের বিষয়ে একটি তথ্যচিত্র উপস্থাপন করা হয়।
সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের, শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ, প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা এইচটি ইমাম, সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল আজিজ আহমেদসহ বেসামরিক ও সামরিক শীর্ষ কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন এ অনুষ্ঠানে।
গত ২৯ জুলাই ঢাকার বিমানবন্দর সড়কের এমইএস এলাকায় জাবালে নূর পরিবহনের একটি বাসের চাপায় নিহত হন রমিজ উদ্দিন কলেজের দুই শিক্ষার্থী দিয়া খানম মিম ও আবদুল করিম রাজীব।
তারপর নিরাপদ সড়কের দাবিতে সড়কে আন্দোলনে নামে শিক্ষার্থীরা; সেই আন্দোলন ছড়িয়ে পড়ে সারাদেশে।
আন্দোলনের মধ্যে ওঠে নয় দফা দাবি। সড়কে অবস্থান নিয়ে শিক্ষার্থীরা অবতীর্ণ হয় পুলিশের ভূমিকায়; শুরু করে চালকের লাইসেন্স ও যানবাহনের কাগজপত্র পরীক্ষা।
শুরুতে মোটামুটি শান্তিপূর্ণ হলেও এক পর্যায়ে কিছু গুজবের কারণে তৈরি হয় উত্তেজনা, ঘটনাপ্রবাহ গড়ায় সহিংসতায়।
বিক্ষোভের মধ্যে কয়েকটি স্থানে শিক্ষার্থীদের উপর পুলিশ চড়াও হয় পুলিশ, তাদের সঙ্গে কোথাও কোথাও যুবলীগ-ছাত্রলীগের কর্মীরাও হামলায় অংশ নেয় বলে অভিযোগ ওঠে।
এই আন্দোলনের মুখে সরকার সড়কের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে শিক্ষার্থীদের দাবি মেনে নেওয়ার ঘোষণা দেয়। মন্ত্রিসভায় পাস করা হয় দীর্ঘদিন ধরে আটকে থাকা সড়ক নিরাপত্তা আইনের খসড়া।
প্রধানমন্ত্রী ইতোমধ্যে রমিজ উদ্দিন কলেজের শিক্ষার্থীদের জন্য পাঁচটি বাস দিয়েছেন। এ ছাড়া সরকারের পক্ষ থেকে নিহত দুজনের পরিবারকে ২০ লাখ টাকা করে দেওয়া হয়েছে।
এই সচেতনতা কেবল কিছুদিনের জন্যে নয়। এটি আমাদের সবসময় মনে রাখতে হবে। এছাড়া নিজেরা সচেতন হয়ে না উঠতে পারলে দুর্ঘটনা রোধ করা একা সরকারের পক্ষে সম্ভব নয়।
এই অভূতপূর্ব আন্দোলনের মাধ্যমে দুর্ঘটনার হার অনেকটাই কমে আসবে, এমনটাই আশা জনসাধারনের।
অনলাইন বাংলা নিউজ বিডি :/ এম ইউ
Leave a Reply