মঙ্গলবার (৩০ অক্টোবর) প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেনের নেতৃত্বে সাত বিচারপতির বেঞ্চে হাইকোর্টের একটি বেঞ্চের প্রতি অনাস্থা জানিয়ে আবেদন করেন। পরে আদালত সেটি গ্রহণ করেনি।

সুপ্রিমকোর্ট আইনজীবী সমিতির সভাপতি বিএনপির নেতা অ্যাডভোকেট জয়নুল আবেদীন বলেছেন, আদালত এক তরফাভাবে সব কিছু করে যাচ্ছে। আমরা মনে করি এই আদালতে যথাযর্থ বিচার পাবো না। এই কথা বলে আমরা একটা আবেদন নিয়ে গিলেছিলাম। আদালত আমাদের সেই আবেদনটি গ্রহণ করেননি।
পরে সুপ্রিমকোর্ট আইনজীবী সমিতির সভাপতি অ্যাডভোকেট জয়নুল আবেদীন বলেন, আমরা অত্যন্ত ব্যথিত, মর্মাহত।
তিনি বলেন, গতকালকে একটি আদেশ হয়েছে, আমরা যে রিভিউ আবেদন করেছিলাম। যদিও আদালত সেটা খারিজ করেনি, আদালত সেটা নিষ্পত্তি করে বলেছেন, যে আমাদের আবেদনটা নিষ্পত্তি করার জন্য আজকের মধ্যে।
কিন্তু আমাদের ধারণা ছিল অন্তত আমাদের কথা শুনে আদালত সেই বিষয়টি যথাযথ আদেশ দেবেন। কিন্তু আমরা আজকের কজ লিস্টে দেখলাম মামলাটি রায়ের জন্য আছে। সুতরাং আমরা এটা বুঝতেই পারলাম না আমাদের যে পিটিশনটা আদেশ হওয়ার কথা ছিল সেটার কি হলো। এই কারনে আমরা বুঝলাম আদালত এক তরফাভাবে সব কিছু করে যাচ্ছে। এজন্য আমরা এগ্রিব (সংক্ষুব্ধ) হয়ে আপিল বিভাগে গিয়েছি। আমাদের তো আর জায়গানেই।
আমরা সেই জন্য সংবিধানের ১০৪ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী একটি দরখাস্ত দিয়েছি। তাতে বলেছি, যেহেতু আদালত আপনাদের গতকালের আদেশটি কমপ্লাই না করে রায়ের জন্য রেখেছে। আমরা মনে করি এই আদালতে যথাযর্থ বিচার পাবো না। এই কথা বলে আমরা একটা আবেদন নিয়ে গিলেছিলাম।
তিনি বলেন, আমাদের পক্ষে এজে মোহাম্মাদ আলী আদালতকে বলেছেন, অতীতেও এমন নজির আছে তারপরও সেই আবেদনটি আপিল বিভাগ নেননি। এখানেও আমাদের একটা ব্যথা। আমরা কোথাও বিচার পাচ্ছি না। ১/১১ সময় যেমনিভাবে রাজনীতিবিদরা বিচার পায়নি।
আজকেও এখানে মনে হচ্ছে সে রকম ব্যবস্থা হচ্ছে। বেগম খালেদা জিয়া একের পর এক বিচার থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। আজকে সাড়ে ১০টায় কোর্টে যাবেন কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমরা এখনো জানি না। এটা পরে বলবো।
সিনিয়র আইনজীবীরা আসলে পরবর্তী বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বলেও তিনি জানান।
Leave a Reply