
‘পবিত্র রমজান মাসে আল্লাহর সন্তুষ্টির’ জন্য নিজের শিশু কন্যাকে জবাই করার অভিযোগে ভারতের রাজস্থানে এক ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
শুক্রবার সকালে স্থানীয় পিপারসিটি শহরের বাসিন্দা নওয়াব আলীর চার বছর বয়সী কন্যা রেজওয়ানার লাশ তাদের বাড়িতে পাওয়া যায়, লাশটির গলা কাটা ছিল বলে জানিয়েছেন পুলিশ সুপার (যোধপুর রুলাল) রাজন দুশায়ন্ত, খবর এনডিটিভির।
এরপর ঘটনা তদন্তে পুলিশের ডগ স্কোয়াড ও এফএসএল টিম তলব করা হয়।
দুশায়ন্ত জানান, ঘটনার সময় বাড়িটি ভিতর থেকে বন্ধ থাকায় সন্দেহ আলীর ওপর গিয়ে পড়ে।
তদন্তের এক পর্যায়ে শনিবার আলী স্বীকার করেন, রোজা চলাকালে আল্লাহর সন্তুষ্টি লাভের উদ্দেশ্যেই নিজ কন্যাকে কুরবানি দিয়েছেন তিনি।
বৃহস্পতিবার রাতে আলী, তার স্ত্রী ও দুই কন্যা একসঙ্গে বাড়ির ছাদে ঘুমিয়ে পড়েছিলেন। সকালে মা রেজওয়ানাকে খুঁজে না পাওয়ায় সবাই এদিক-সেদিক খোঁজাখুঁজি করতে শুরু করে, এরই এক পর্যায়ে বাড়ির নিচ তলায় রেজওয়ানার দেহটি পাওয়া যায় বলে জানিয়েছেন এক পুলিশ কর্মকর্তা।
সঙ্গে সঙ্গে তাকে হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসকরা তাকে মৃত ঘোষণা করেন। একটি বিড়াল রেজওয়ানাকে মেরে থাকতে পারে বলে পরিবারকে বুঝ দেওয়ার চেষ্টা করেন আলী।
পুলিশের বক্তব্য অনুযায়ী, বৃহস্পতিবার সকালে আলী রেজওয়ানাকে মার্কেটে নিয়ে গিয়ে চকলেট ও মিষ্টি কিনে দিয়েছিলেন আর বলেছিলেন, তিনি রেজওয়ানাকে খুব ভালবাসেন।
ওই দিন প্রায় মধ্যরাতে তিনি তাকে বাড়ির নিচে নিয়ে যান, কোলে বসিয়ে কুরানের আয়াত আবৃত্তি করার পর ধারালো একটি ছুরি দিয়ে রেজওয়ানার গলা কেটে দেন বলে জানিয়েছে পুলিশ।
তারপর আলী ছাদে ফিরে অন্যান্যদের সঙ্গে ঘুমিয়ে পড়েন বলে জানিয়েছেন তারা।নওয়াজ আলী মানসিক বিকারগ্রস্ত কিনা, সেটি আদালতের খতিয়ে দেখতে হবে। উগ্র ধর্মান্ধতা মানুষকে কতটা নিচে নামাতে পারে, এটি তার একটি উদাহরন মাত্র।
এই ধর্মান্ধতা ও কুসংস্কারের বীজ মূল থেকে উপড়ে ফেলতে হবে। তবেই পৃথিবীটা সকলের জন্যে বাসযোগ্য হয়ে উঠবে।
অনলাইন বাংলা নিউজ বিডি :/ এস এস
Leave a Reply