
কিছু দিন আগেই জানা যায়, দিনাজপুরের বড়পুকুরিয়া কয়লা খনির ২৩০ কোটি টাকার প্রায় দেড় লাখ টন কয়লা গায়েব হয়ে গেছে। এর হদিস কিংবা এর পেছনে কারা রয়েছে সে হিসাব এখনও মেলে নি। বরং ঘটনা ভিন্ন খাতে প্রবাহের ষড়যন্ত্র শুরু হয়েছে। বলা হচ্ছে বড়পুকুরিয়া কয়লা খনি কর্তৃপক্ষ আসলে ভুল তথ্য সংরক্ষণের কারণে দেড় লাখ টন কয়লা না থাকার বিষয়টি বেরিয়ে এসেছে।
জ্বালানি সচিব আবু হেনা মো: রহমাতুল মুনিম খনি পরিদর্শন করতে এসে গত শুক্রবার সাংবাদিকদের জানান, বড়পুকুরিয়া খনির দায়িত্বশীল কর্মকর্তারা বাস্তবে মজুদ কম থাকার পরও বেশি মজুদ দেখিয়েছিলেন, যা একটা অপরাধ। কাগজেকলমে যে পরিমাণ কয়লার মজুদ উল্লেখ করা হয়েছে বাস্তবে তা দেখাতে পারেননি খনির কর্মকর্তারা। যদি কয়লা চুরি হওয়ার ঘটনা ঘটে থাকে তবে তা প্রতিষ্ঠানের লোকজনের মাধ্যমেই ঘটেছে। তদন্তের মাধ্যমে সবই বেরিয়ে আসবে। তবে তদন্তে যদি চুরি প্রমাণিত হয় তার দায় প্রতিষ্ঠানের সবাইকে নিতে হবে।
এ সময় তার সাথে আরো ছিলেন বিদ্যুৎ সচিব আহমেদ কায়কাওস, পেট্রোবাংলার চেয়ারম্যান আবুল মনসুর মো: ফয়জুল্লাহ ও পিডিবির চেয়ারম্যান খালিদ মাহমুদ। বিদ্যুৎ সচিব আহমেদ কায়কাওস জানান, কয়লা উধাও হয়ে যাওয়ার পর জ্বালানির অভাবে বড়পুকুরিয়া তাপ বিদ্যুৎকেন্দ্র থেকে সাময়িকভাবে বিদ্যুৎ উৎপাদন বন্ধ থাকলেও সাধারণ মানুষ লোডশেডিংয়ের ভোগান্তিতে পড়বে না। পেট্রোবাংলার চেয়ারম্যান আবুল মনসুর মো: ফয়জুল্লাহ জানান, শিগগিরই একটি টেকনিক্যাল তদন্ত কমিটি গঠন করা হবে। তারা কারিগরিসহ কোথাও কাজের গাফিলতি আছে কি না তা খতিয়ে দেখবে।
এর আগে বড়পুকুরিয়ায় কয়লা খনির দেড় লাখ টন কয়লা গায়েব হয়ে যাওয়ার ঘটনা ফাঁস হয়ে পড়লে সারা দেশে তোলপাড় শুরু হয়। অবশেষে গত ২১ জুলাই দুদক তদন্ত শুরু করলে প্রাথমিকভাবে বিশাল দুর্নীতির বিষয়টি ধরা পড়ে। দুদকের তদন্তকাজ শেষ না হতেই জ্বালানি সচিবের এমন মন্তব্যে বিস্ময় প্রকাশ করেছেন অনেকে। খনির দুর্নীতির বিষয়টি ধামাচাপা দেয়ার চেষ্টা চলছে।
এত বড় অনিয়ম এবং দুর্নীতি করেও পার পেয়ে গেলে দেশে আইনের প্রতি কারো শ্রদ্ধা থাকবে না। বেড়ে উঠবে অবিশবাস ও ঘৃণা। সেই সাথে সরকারের দায়বদ্ধতাও প্রশ্ন বিদ্ধ হয়ে যায়।
তাই এই ন্যাক্কারজনক ঘটনার পেছনে কারা আছে সেটি খুঁজে বের করে শীঘ্রই আইনের আওতায় নিয়ে আসতে হবে।
অনলাইন বাংলা নিউজ বিডি :/ এম ইউ
Leave a Reply