
মঙ্গলবার (৩ জুলাই) রাত ৮টার দিকে কুলাউড়া রেল স্টেশনের স্টেশন মাস্টারের রুমে রেলওয়ের এক কর্মচারীর কাছ থেকে ঘুষ নেওয়ার সময় ধরা পড়েন বাংলাদেশ রেলওয়ের কুলাউড়া সেকশনের ঊর্ধ্বতন সহকারী প্রকৌশলী (পথ) মোহাম্মদ এরফানুর রহমান।
এরফান ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আশুগঞ্জ উপজেলার নাওঘাট গ্রামের আব্দুল লতিফের ছেলে।
তাকে তৎক্ষণাৎ গ্রেফতার করা হয়। ঘুষের টাকা নেওয়ার সময় দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) একটি দল তাকে হাতেনাতে গ্রেফতার করে।
জানা যায়, এরফানুর রহমান পাঁচ বছর আগে রেলওয়ের কুলাউড়া সেকশনের ঊর্ধ্বতন সহকারী প্রকৌশলী (পথ) হিসেবে যোগ দেন। কুলাউড়া যোগ দিয়েই জড়ান ঘুষ বাণিজ্যে। তার অধীনস্থ সব কর্মচারীর কাছ থেকে বিভিন্ন দুর্বলতার সুযোগ নিয়ে জিম্মি করে ঘুষ আদায় করতেন।
মঙ্গলবার সন্ধ্যায় তার অধীনস্ত কর্মচারী রেলের ওয়েম্যান আবুল হোসেনের কাছ থেকে ১০ হাজার টাকা ঘুষ (মাসোহারা) নেওয়ার সময় দুদক হবিগঞ্জ সম্মিলিত জেলা কার্যালয়ের উপ-পরিচালক মলয় সাহার নেতৃত্বে পাঁচ সদস্যের একটি দল গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে ঘুষের ১০ হাজার টাকাসহ তাকে গ্রেফতার করে।
দুদক হবিগঞ্জ জেলা সম্মলিত জেলা কার্যালয়ের উপ-পরিচালক মলয় সাহা বলেন, এরফান দীর্ঘদিন তার অধীনস্থ কর্মচারীদের কাছ থেকে ঘুষ ও মাসিক মসোহারা আদায় করতেন। তাকে হাতেনাতে গ্রেফতার করে কুলাউড়া রেলওয়ে থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।
কুলাউড়া রেলওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল মালেক জানান, দুদক কর্মকর্তারা এরফানুর রহমানকে রেলওয়ে থানায় হস্তান্তর করে দিয়ে গেছেন। বুধবার আদালতের মাধ্যমে তাকে জেল কারাগারে পাঠানো হবে।
সরকারী চাকুরীতে ঘুষের সমস্যা একটি পুরোনো ব্যাধী। সরকারী অফিসে সাধারন মানুষের ভোগান্তির পেছনে মূল কারন থাকে এটি।
এজন্যে সরকারকে আরো সতর্ক দৃষ্টি রাখতে হবে এই বিষয়ে। সেই সাথে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর উচিৎ এই অনিয়ম কঠোর হাতে দমন করা।
অনলাইন বাংলা নিউজ বিডি :/ এম ইউ
Leave a Reply