
সোমবার ভোর সাড়ে ৪টার দিকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন একাত্তরের জননী’ খ্যাত বীরাঙ্গনা রমা চৌধুরী।
তাঁকে রাষ্ট্রীয়ভাবে গার্ড অব অনার দেওয়া হয়েছে।
সোমবার (০৩ সেপ্টেম্বর) বেলা সোয়া ১২টার দিকে চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের সামনে এ সম্মাননা দেওয়া হয়।
এর আগে সোমবার সকাল সাড়ে দশটার দিকে রমা চৌধুরীর মরদেহ কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের সামনে নিয়ে আসলে স্থানীয় প্রশাসন, বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠন এবং সর্বস্তরের মানুষ মরদেহে ফুলেল শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।
একাত্তরের এ বীরাঙ্গনার প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন মুক্তিযোদ্ধা সংসদ চট্টগ্রাম মহানগরের কমান্ডার মোজাফফর আহমদ, দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মোসলেম উদ্দিন আহমদ, সাধারণ সম্পাদক মফিজুর রহমান, চট্টগ্রাম বিভাগীয় কমিশনার আবদুল মান্নান, চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের (সিএমপি) অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (অপরাধ ও অভিযান) আমেনা বেগম, ভারপ্রাপ্ত জেলা প্রশাসক মো. হাবিবুর রহমান, লেখক ও শহীদজায়া মুশতারি শফী, মুক্তিযোদ্ধা অমল মিত্র, অধ্যক্ষ রীতা দত্ত, বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের (বিএফইউজে) সহ-সভাপতি রিয়াজ হায়দার চৌধুরী, চট্টগ্রাম সাংবাদিক ইউনিয়নের (সিইউজে) সাধারণ সম্পাদক হাসান ফেরদৌস প্রমুখ।
এছাড়াও ফুলেল শ্রদ্ধা নিবেদন করেন সম্মিলিত আবৃত্তি জোট, গণজাগরণ মঞ্চ, উদীচী চট্টগ্রাম জেলা সংসদ, প্রমা আবৃত্তি সংগঠন, তারুণ্যের উচ্ছ্বাস, মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস ও সাহিত্য চর্চা পরিষদ, কৃষ্ণকুমারী সিটি করপোরেশন স্কুল, অর্পণাচরণ সিটি করপোরেশন স্কুল, মিউনিসিপ্যাল সিটি করপোরেশন স্কুল, পাহাড়িকা স্কুলে শিক্ষক-শিক্ষার্থীসহ নানা শ্রেণি পেশার মানুষ।
এসময় ‘একাত্তরের জননী’ খ্যাত বীরাঙ্গনা রমা চৌধুরীর বেঁচে থাকা একমাত্র ছেলে জহর চৌধুরী, রমা চৌধুরীর দীর্ঘদিনের সহচর ও তার বইয়ের প্রকাশক আলাউদ্দীন খোকন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
বয়সের ভারে কিংবা দুঃসহ স্মৃতি বুকে বয়ে নিয়ে একসময় চলে যাচ্ছেন এইসকল বীরাঙ্গনা মুক্তিযোদ্ধারা, যাদের অবদানে আমাদের দেশ আজ স্বাধীন। তবে স্বাধীনতার এতগুলো বছর পরেও তাঁদের যোগ্য সম্মান কি আমরা তাঁদের দিতে পেরেছি? উত্তর জানা নেই কারোই।
অনলাইন বাংলা নিউজ বিডি :/ এম ইউ
Leave a Reply