
মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে আমাদের একটাই দাবি আমরা আরিফুর রেজা ইমনের পদত্যাগ চাই সে এখন বিবাহিত তা না হলে আমরা রাস্তায় নামবো আমরা চাই তার পদত্যাগ।
গণতন্ত্র কি বলে।
চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা ছাত্রলীগের বর্তমান সভাপতি অারিফুল রেজা ইমন গত ১২ অক্টোবর জাঁকজমক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে বিয়ে করেন। ১৩ অক্টোবর শহরের টাউন হলে পারিবারিকভাবে এই বিয়ের অনুষ্ঠানের অায়োজন করা হয়। অতিথিদের কার্ডের মাধ্যমে অামন্ত্রণ জানিয়ে বর্তমান সভাপতি তার বিয়ের অনুষ্ঠানে দাওয়াত দেন।
বিয়ের অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন ইমনের অাত্মীয় স্বজন ও জেলা অাওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি জিয়াউর রহমান, চাঁপাই-২ অাসনের সংসদ সদস্য গোলাম মোস্তফা বিশ্বাস, জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক সাইফ জামান আনন্দ সহ অাওয়ামী লীগ, যুবলীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ,জেলা ছাত্রলীগের বিভিন্ন স্তরের নেতৃবৃন্দ।
জানা গেছে, গত ২৯ এপ্রিল ২০১৮ সালে ইমন-অানন্দসহ চারসদস্য বিশিষ্ট কমিটি দেয় কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ। অন্য দুজন হলেন সহ-সভাপতি নাহিদ শিকদার ও যুগ্ম সাধারন সম্পাদক রুবেল হোসেন জয়। কমিটির মেয়াদ ৬ মাস হতে না হতেই গঠনতন্ত্রকে তোয়াক্কা না করে বর্তমান সভাপতি ইমন বিয়ে করলেন। এতে ছাত্রলীগ নেতা কর্মীদের মাঝে নানা গুঞ্জন আলোচনা সমালোচনা চলছে
বাংলাদেশ ছাত্রলীগের গঠনতন্ত্র ৫ (গ) ধারায় বলা হয়েছে, ”বিবাহিত, ব্যবসায়ী ও চাকরিতে নিয়োজিত কোনো ছাত্র ও ছাত্রী ছাত্রলীগের কর্মকর্তা হতে পারবে না।“
এই জাঁক জমক বিয়ের অনুষ্ঠানের মাধ্যমে গঠনতন্ত্র ভঙ্গের বিষয়টি নেতাকর্মী সহ অন্যান্য সকল ইউনিটের সভাপতি -সাধারন সম্পাদক দের বিব্রত করেছে।
এ ব্যপারে ছাত্রলীগের সাধারন সম্পাদক আনন্দ জানান, ছাত্রলীগে পদে থেকে এভাবে ঢাক ঢোল পিটিয়ে বিয়ে করা বিষয়টি জানি। তবে পদ থেকে অব্যহত নিয়ে বিয়ে করাটা ভালো ছিল।
বর্তমান কমিটির যুগ্ম সাধারন সম্পাদক রুবেল হোসেন জয়, উপজেলা সভাপতি অানোয়ার হোসেন সদর, নবাবগঞ্জ পৌর সভাপতি জাহিদ হাসান পরশ জানান, পদে থেকে এভাবে ঢাক ঢোল পিটিয়ে বিয়ে করা মানে ছাত্রলীগের গঠনতন্ত্রকে অপমান করা বলে মনে করি। সে যেহেতু বিবাহিত সে ক্ষেত্রে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের নেতাদের দৃষ্টি আকর্ষন করছি ছাত্রলীগের গঠনন্ত্রের প্রতি সম্মান জানিয়ে পদ থেকে দ্রুত অব্যহতি দেয়ার জন্য অনুরোধ করছি বলে জানান এসব নেতারা।
অনলাইন বাংলা নিউজ বিডি:/ আমিরুল ইসলাম
Leave a Reply