চীনের ওয়ান বেল্ট ওয়ান রোডে বাংলাদেশকে যুক্ত হতে হবে

সিপিডির চেয়ারম্যান অধ্যাপক রেহমান সোবহান বলেছেন, চীনের ওয়ান বেল্ট ওয়ান রোডের মধ্য দিয়ে পৃথিবীতে একটি ন্যায়ানুগ নতুন বিশ্ব অর্থনৈতিক ব্যবস্থা প্রবর্তনের সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে। বাংলাদেশসহ তৃতীয় বিশ্বের দেশসমূহকে এর সঙ্গে যুক্ত হতে হবে। এটা তাদের এবং এশিয়ার স্বার্থেই করতে হবে। পৃথিবীর অর্থনৈতিক ভরকেন্দ্র এখন এশিয়াতে এবং চীন তার নেতৃত্ব দিচ্ছে।

শনিবার (২৭ জুলাই) জাতীয় প্রেস ক্লাবে ‘দ্যা বেল্ট রোড ইনিশিয়েটিভ অ্যান্ড দ্যা নিউ ইণ্টারন্যাশনাল ইকোনোমিক ওয়ার্ডার’ শীর্ষক এক সেমিনারে প্রধান বক্তা হিসেবে সিপিডির চেয়ারম্যান অধ্যাপক রেহমান সোবহান এ কথা বলেন। সেমিনারের আয়োজক ছিল বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টি। পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেনন এতে সভাপতিত্ব করেন।

অধ্যাপক রেহমান সোবহান বলেন, চীন তার উদ্বৃত্ত অর্থ তৃতীয় বিশ্বের অবকাঠামো, যোগাযোগ ব্যবস্থা ও উন্নয়ন কর্মকাণ্ডে বিনিয়োগ করতে আগ্রহী। যারা এ কথা বলেন, চীনের এই বিনিয়োগ ঋণের ফাঁদ তৈরি করছে এবং সেখানে পাকিস্তান ও শ্রীলঙ্কার উদাহরণ দেয়, তাদের বলা প্রয়োজন চীনের বিনিয়োগের বহু আগেই পাকিস্তান তাদের ৭ লাখ সৈন্য পালতেই এই ঋণের ফাঁদে পড়েছিল।

এক প্রশ্নের উত্তরে রেহমান সোবহান বলেন, বাংলাদেশের অর্থনৈতিক ব্যবস্থার যে বৈষম্য সৃষ্টি করছে তার কথা তিনি পূর্বেই বলেছিলেন।

রাশেদ খান মেনন বলেন, দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর পশ্চিমা দেশগুলোর বিশ্ব অর্থনৈতিক ব্যবস্থাকে যেভাবে সাজিয়েছিল তাতে তৃতীয় বিশ্বের দেশগুলো এক চূড়ান্ত অসম পরিস্থিতির মুখে পড়েছিল।

তিনি বলেন, দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধোত্তরকালে পৃথিবীর পরাধীন দেশগুলো উপনিবেশিক শাসনের কবলমুক্ত হতে স্বাধীন দেশ হিসেবে আর্বিভূত হচ্ছিল। তারা তাদের অর্থনৈতিক উন্নয়নের পাশাপাশি বিশ্ব অর্থনীতিতে তাদের জায়গা নিতে পারছিল না।

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে সাবেক ভিসি অধ্যাপক মইনুল ইসলাম বলেন, মুক্তবাজার অর্থনীতির আফিমে ডুবে আছে বর্তমান সরকার। এর ফলে ধনির সংখ্যা দ্রুত বাড়ছে। বর্তমানে ২০০ জনের বেশি ধনির সম্পদ ২৫০ কোটি টাকার ওপরে। অন্যদিকে গরিব আরও গরিব হচ্ছে। এখান থেকে বের হয়ে আসতে না পারলে আয় বৈষম্য আরও বাড়বে।

ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক ফজলে হোসেন বাদশা বলেন, পশ্চিমা দুনিয়ার আধিপত্যবাদ এশিয়ায় ধ্বংসাত্মক কার্যকলাপ সৃষ্টি হয়েছে। এশিয়া যেন মাথা তুলে দাঁড়াতে না পারে তারই ষড়যন্ত্র হচ্ছে। এখন এশিয়ার ঘুরে দাঁড়ানোর সময় এসেছে।

সেমিনার বক্তব্য রাখেন সাবেক সচিব আওয়ামী লীগের উপদেষ্টামণ্ডলির সদস্য ইনাম আহমেদ চৌধুরী।