
তারিকুলের মুক্তির দাবীতে আজ মানববন্ধন করেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক শিক্ষার্থীরা।
উল্লেখ্য, তারিকুল গত ২ জুলাই শহীদ মিনারে পূর্বঘোষিত কর্মসূচিতে যোগ দিলে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের হাতে মারধরের শিকার হন। সেখান থেকে তাকে পুলিশে সোপর্দ করেন ছাত্রলীগ নেতারা। এরপর তাকে উপাচার্যের বাসভবন ভাংচুরের মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়।
তাঁর মুক্তির দাবি আদায়ে আজ সোমবার বিভাগের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা মানববন্ধন করেছেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের কাজী মোতাহার হোসেন ভবনের সামনে মানববন্ধনে তারিকুলের স্বজনরাও ছিলেন।
তারিকুলের সহপাঠীরা জানিয়েছেন, সোমবার সকাল নয়টার পরীক্ষা তারা বর্জন করেছেন। এছাড়া কয়েকদিন ধরে তারা ক্লাসেও যাচ্ছেন না।
তারিকুলের মুক্তির দাবিতে আয়োজিত মানববন্ধনে সংহতি জানিয়ে আইন বিভাগের চেয়ারম্যান নাইমা হক বলেন, “তারিকুল এই বিভাগের শিক্ষার্থী। তাই শিক্ষার্থীদের এই ন্যায্য দাবির সাথে একমত হয়ে আমরা তাদের সাথে সংহতি জানাচ্ছি।”
বিভাগের শিক্ষক আসিফ নজরুল বলেন, “তারিকুলকে একটি ন্যায্য দাবির আন্দোলন থেকে ছাত্রলীগ মারধর করে পুলিশের হাতে তুলে দিয়েছে। এরপরে একটি পুরনো মামলায় তাকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে, যেটা পুরোপুরি অসঙ্গতিপূর্ণ। এরকম একটা ঘটনায় আমরা বিবেকবান মানুষ হিসেবে চুপ করে থাকতে পারি না। তাই শিক্ষার্থীদের সাথে এখানে এসে দাঁড়িয়েছি।”
সারাদেশে শিক্ষার্থীদের ওপর ছাত্রলীগের পাশাপাশি পুলিশের নির্যাতন বন্ধের দাবি জানান এই অধ্যাপক।
মানবন্ধনে অংশ নেওয়া তারিকুলের বাবা সেনাবাহিনির সাবেক ওয়ারেন্ট অফিসার শফিকুল ইসলাম জানান, তার ছেলে কোনো অন্যায় করেনি, তাকে অন্যায়ভাবেই আটকে রাখা হয়েছে।
“আমি আমার ছেলের বিরুদ্ধে এই অন্যায়ের সুরাহা চাই,” বলেন সেনাবাহিনীর সাবেক ওয়ারেন্ট অফিসার শফিকুল।
মানববন্ধনে অংশ নেন আইন বিভাগের অধ্যাপক শাহনাজ হুদা, সুমাইয়া খায়ের, মাহবুবুর রহমান, সহযোগী অধ্যাপক আরিফ জামিল ও প্রভাষক প্রিয়াংকা বোস কান্তা।
কোটা আন্দোলনের বিষয়ে সুরাহার জন্যে সরকারকে অতি দ্রুত সিদ্ধান্তে আসতে হবে। তা না হলে সাধারন শিক্ষার্থীরা এই আন্দোলনকে আরো বেগবান করে তুলবে, এটি স্পষ্টতই বোঝা যাচ্ছে।
অনলাইন বাংলা নিউজ বিডি :/ এম ইউ
Leave a Reply