
নাটোরে শিশু পার্ক বন্ধ করে লেডিস ক্লাব করার প্রতিবাদ করে জেলা প্রশাসকের কাছে স্মারকলিপি দিয়েছেন নাটোরের বিভিন্ন সামাজিক -সাংস্কৃতিক ও পেশাজীবী সংগঠন। বুধবার বিকেলে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক(সার্বিক) রাজ্জাকুল ইসলামের হাতে এই স্মারকলিপিটি প্রদান করেন ইঙ্গিত থিয়েটারের সাধারণ সম্পাদক সুখময় রায় বিপ্লু। এসময় তার সাথে অন্যান্য সংগঠনের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
স্মারকলিপিতে বলা হয়, নাটোর কাচারী মাঠ সংলগ্ন পূর্ব উত্তর কোণে দীর্ঘকাল যাবৎ শিশুদের মানসিক বিকাশ জনিত খেলাধুলা বিনোদনের কাজে ব্যবহৃত অনেক পুরানো ঐতিহ্যবাহী শিশু পার্কটিতে লেডিস ক্লাব করা হচ্ছে। এজন্য মাটি ভরাট ও প্রাচীর দিয়ে শিশু পার্কটি বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। উদ্যোগ নেয়া হয়েছে ভবন নির্মাণের।
আমরা মনে করি উক্ত শিশু পার্কটি পূর্বের ন্যায় শিশুদের জন্য সংরক্ষণ করা আবশ্যক। এতে কোনরূপ বিতর্কের অবকাশ নেই। স্মারকলিপি স্বাক্ষরকারীরা অবিলম্বে শিশু পার্কে লেডিস ক্লাব নির্মাণ বন্ধের দাবি জানান। অন্যথায় শিশু পার্কের যে কোন ক্ষয় ক্ষতির দায়ভার সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের ওপর বর্তাবে বলে হুঁশিয়ারী দেন।
উল্লেখ্য গত ৭ নভেম্বর জেলা প্রশাসন নাটোর শহরের প্রাচীন শিশু পার্কটিতে প্রাচীর দিয়ে যাতায়াতের রাস্তা বন্ধ করে দিয়ে লেডিস ক্লাবের সাইনবোর্ড টানিয়ে দেন।স্থানীয় লোকজন জানান, শহরের কান্দিভিটা এলাকায় বহুকাল পূর্বে এসডিওর (মহকুমা প্রশাসক) বাসভবনের উত্তর পূর্বকোনে একটি শিশু পার্ক গড়ে তোলা হয়।
এরপর বহুকাল শিশুপার্কটি শিশুদের বিনোদনের জন্য ব্যবহৃত হয়ে আসছিল। ১৯৮৪ সালে নাটোর জেলা শহরে উন্নিত হলে আলাদাভাবে জেলা প্রশাসকের বাসভবন তৈরি করা হয় এবং সেখানে জেলা প্রশাসক বসবাস করছেন। এরপর থেকে এসডিওর বাসভবনটি লেডিস ক্লাব হিসেবে অফিসারদের স্ত্রী কন্যারাই ব্যবহার করে আসছেন।
অপরদিকে যথাযথ সংরক্ষণ না করায় শিশু পার্কটি সৌন্দর্য্য হারিয়ে ফেলে । এ বিষয়ে কথা সাহিত্যিক জাকির তালুকদার বলেন, প্রায় দেড়’শ বছরের পুরাতন নাটোর পৌরসভা। আমরা জন্মের বহুকাল পূর্ব থেকেই এটি শিশু পার্ক হিসেবে ব্যবহৃত হয়ে আসছে। কিন্তু হঠাৎ করে শিশু পার্ক বন্ধ করে লেডিস ক্লাবের সাইন বোর্ড টাঙ্গিয়ে দেওয়ায় আমরা অবাক হয়েছি।
এ বিষয়ে নাটোর সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জেসমনি আকতার বানু বলেন, এটি সরকারী জায়গা। সরকারের জায়গা সংরক্ষনের জন্যই আমরা প্রাচীর দিচ্ছি।
অনলাইন বাংলা নিউজ বিডি :/আমিরুল ইসলাম
Leave a Reply