
আলিম পরীক্ষা দিতে গিয়ে দুর্বৃত্তদের দেওয়া আগুনে ঝলসে গেছে এক ছাত্রীর শরীর। দগ্ধ নুসরাত জাহান রাফি (১৮) সোনাগাজী ইসলামিয়া সিনিয়র ফাজিল মাদরাসার ছাত্রী। নিজ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানেই তার ওপর হামলা হয়।
ফেনী সদর হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসক মো. আবু তাহের জানান, রাফির শরীরের ৭০ শতাংশ পুড়ে গেছে। গুরুতর দগ্ধ ঐ ছাত্রীকে বর্তমানে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে।
সবশেষ পুড়িয়ে হত্যাচেষ্টায় দগ্ধ নুসরাতের অবস্থা সংকটাপন্ন হওয়ায় তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে লাইফ সাপোর্টে নেয়া হয়েছে।
সোমবার (৮ এপ্রিল) বেলা সাড়ে ১১টায় তাকে লাইফ সাপোর্টে নেয়া হয় বলে জানিয়েছেন জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের সমন্বয়ক ডা. সামন্ত লাল সেন।
পরিবারের পক্ষ থেকে অভিযোগ করা হয় ঘটনার দিন সকালে পরীক্ষা দিতে কেন্দ্রে প্রবেশের আগে নুসরাতকে কয়েকজন মুখোশ পরা মেয়ে ভবনের ছাদে ডেকে নিয়ে যায়।তাকে বলা হয় যে তার এক বান্ধবীকে ছাদে পেটানো হচ্ছে।
পরিবারের অভিযোগ ওই মেয়েরাই মিথ্যা বলে, পরিকল্পিতভাবে হত্যার উদ্দেশ্যে আহত ছাত্রীর শরীরে কেরোসিন ঢেলে আগুন ধরিয়ে দিয়েছে।
ছাত্রীটির ভাই বলেন, তার বোন কয়েকদিন আগে তার মাদ্রাসার অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে শ্লীলতাহানির মামলা করেছিল, সেই ঘটনার জেরে ওই অধ্যক্ষের পক্ষের শিক্ষার্থীরা তার বোনকে পুড়িয়ে মারার চেষ্টা করেছে।
গত ২৭শে মার্চ ওই মাদ্রাসার অধ্যক্ষ তার বোনকে নিজ কক্ষে ডেকে নিয়ে শ্লীলতাহানির চেষ্টা করেছে এমন অভিযোগে পুলিশের কাছে মামলা করে ছাত্রীটির পরিবার।
পরে পুলিশ ওই মামলার জেরে অভিযুক্ত অধ্যক্ষকে গ্রেফতার করে এবং আদালতের মাধ্যমে তাকে কারাগারে পাঠায়।
এই ঘটনার পর পর মাদ্রাসায় ওই শিক্ষকের পক্ষে-বিপক্ষে শিক্ষার্থীরা আলাদাভাবে আন্দোলন করতে শুরু করে।
আহত ছাত্রীর ভাইয়ের দাবি, সেই শিক্ষকের পক্ষে দাঁড়ানো শিক্ষার্থীরা তার বোনকে মামলা তুলে নিতে চাপ দিয়ে আসছিল।
তিনি বলেন, আগুন লাগার পর সে আমাকে জানিয়েছে যে ওই মেয়েরা মামলা তুলে নিতে বলেছিল, মামলা তুলে নেবে না জানালে তারা তার গায়ে কেরোসিন ঢেলে আগুন ধরিয়ে দেয়।
অনলাইন বাংলা নিউজ বিডি :/ জয় রহমান
Leave a Reply