
সিলেটের ফেঞ্চুগঞ্জে কলু মিয়া নামে কথিত এক ভণ্ডপীরের অসামাজিক কার্যকলাপ নিয়ে উপজেলাজুড়ে ব্যাপক তোলপাড় চলছে। কথিত কলু পীরের ধর্ষণে এক প্রবাসীর স্ত্রী অন্তঃসত্ত্বা হয়ে গেলে ৫ মাসের মাথায় ওই ভণ্ডপীর নিজে বাঁচতে নার্স দিয়ে গর্ভপাত ঘটিয়েছে এমন অভিযোগ করেন ভিকটিম নিজেই।
এ ঘটনায় ফেঞ্চুগঞ্জ থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। কথিত কলু পীরের বাড়ি উপজেলার ঘিলাছড়া ইউনিয়নের বাদেদৈউলী গ্রামে। সে দীর্ঘদিন ধরে পীর সেজে এমন অসামাজিক কাজ করছে বলে স্থানীয় এলাকাবাসী অভিযোগ করেন।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, সম্প্রতি এক প্রবাসীর স্ত্রী তাঁর স্বামী বিদেশ থেকে আসছেন না ও দীর্ঘ দশবছর ধরে টাকাও পাঠাচ্ছেন না। এ ব্যাপারে সমাধানের জন্য কুলাউড়া থেকে আসেন কলু পীরের কাছে। কলু পীর ওই মহিলাকে ভয় দেখিয়ে বলেন, তাকে গোসল করিয়ে না দিলে প্রবাসে তার স্বামীর ক্ষতি হবে। ভয় পেয়ে ওই মহিলা কলু পীরকে গোসল করাতে গেলে তাকে ধর্ষণ করা হয়।
এতে ওই মহিলা গর্ভবতী হয়ে পড়লে কলু পীর তাকে ভয় দেখিয়ে নিজের বাড়িতে এনে দীর্ঘ চার মাস আটকে রাখেন। পরে কলু পীরের এক স্ত্রী ও শ্যালিকার সহায়তায় অজ্ঞান করে এক নার্সের বাসায় নিয়ে ওই মহিলার গর্ভপাত করানো হয়।
এ ব্যাপারে ফেঞ্চুগঞ্জ থানার উপ-পরিদর্শক সুহেল মাহমুদ জানান, অভিযোগ তদন্ত করে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।এ বিষয়ে কথিত পীর কলুর সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করেও তাকে পাওয়া যায়নি। তিনি পালিয়ে বেড়াচ্ছেন বলে জানা গেছে।
অনলাইন বাংলা নিউজ বিডি:/আমিরুল ইসলাম
Leave a Reply