
ইন্দোনেশিয়ার এক দ্বীপের কাছে ফেরি ডুবে অন্তত ২৯ জনের মৃত্যু হয়েছে। নিখোঁজ রয়েছেন আরো অনেকে।
মঙ্গলবারের এ ঘটনায় নিখোঁজ ৪১ জনের সন্ধানে উদ্ধার তৎপরতা অব্যাহত আছে বলে খবর বার্তা সংস্থা রয়টার্সের।
ফেরিটির ৬৯ জন যাত্রীকে জীবিত উদ্ধার করা হয়েছে বলে জানিয়েছে ইন্দোনেশিয়ার দুর্যোগ প্রশমন সংস্থা।
কয়েক সপ্তাহ আগে বিশ্বের গভীরতম আগ্নেয় হ্রদ তোবায় অতিরিক্ত যাত্রীবোঝাই একটি ফেরি ডুবে দুইশতাধিক লোকের মৃত্যু হয়েছিলো। এরপরই দেশটির সুলাওয়েসি দ্বীপের কছে আবার আরেকটি ফেরিডুবির ঘটনা ঘটল। এই ঘটনায় চিন্তিত দেশের সাধারন জনগন, বিব্রত প্রশাসন।
জানা যায়, ঢুকে পড়া পানির কারণে ফেরিটি ধীরে ধীরে ডুবে যায়। এ সময় ফেরিটিতে অনেকগুলো যানবাহন থাকলেও সঠিক সংখ্যা জানা যায়নি।
ডুবে যাওয়ার সময় তীরের খুব কাছাকাছি থাকা নৌযানটির ক্যাপ্টেন এটিকে একটি প্রবাল প্রাচীরের দিকে চালিয়ে নিয়ে যান; উদ্ধার তৎপরতা সহজ করতেই তিনি এমনটি করেছেন বলে ইন্দোনেশিয়ার যোগাযোগ মন্ত্রণালয়ের এক কর্মকর্তা রয়টার্সকে জানিয়েছেন।
টেলিভিশনে সম্প্রচারিত ফুটেজে কয়েক ডজন যাত্রীকে উল্টে যাওয়া নৌযানটি ধরে ঝুলে থাকতে ও লাইফ জ্যাকেট পরে পানিতে ভাসতে দেখা গেছে।
সাধারণ নিরাপত্তা বিধি না মানায় ও অতিরিক্ত যাত্রী বোঝাইয়ের কারণে ইন্দোনেশিয়ায় প্রায়ই নৌকা ডুবে বহু মানুষের মৃত্যু হয়।
তোবা হ্রদে গত মাসের ফেরিডুবির ঘটনায় দুই সপ্তাহ ধরে অনুসন্ধান ও উদ্ধার কার্যক্রম চলে। ডুবে যাওয়া ওই ফেরিটিকে পানির দেড় হাজার ফুট নিচে পাওয়া যায়; ভেতরে তখনও অনেক মৃতদেহ আটকে ছিল। প্রযুক্তিগত ও সরবরাহ ঘাটতিসহ নানান প্রতিবন্ধকতার মুখে পড়ে পরে ওই উদ্ধার অভিযান বাতিল করা হয়।
বারবার এভাবে অনাকাঙ্ক্ষিত দুর্ঘটনায় হতাহতের বিষয়টি ইন্দোনেশিয়ার প্রশাসনকে আরো গুরুত্ব দিয়ে দেখা উচিৎ। এক্ষেত্রে আইন মেনে না চলা এইসব নৌযানের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নিলে এমন দুর্ঘটনা অনেকাংশেই কমে আসতে পারে।
অনলাইন বাংলা নিউজ বিডি :/ এম ইউ
Leave a Reply