
শুক্রবার সকালে গাজীপুর মহানগরীর ভোগড়া বাইপাস মোড় এলাকায় বাস র্যাপিড ট্রানজিটসহ (বিআরটি) প্রকল্পের কার্যক্রম পরিদর্শন করতে যান সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। এরপর সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেছেন, নির্বাচনের আগে সাবেক প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহার বই প্রকাশটি উদ্দেশ্যমূলক। এই সময়ে বইটি প্রকাশ করে তিনি সরকারবিরোধী অপপ্রচারের উসকানি না দিলেও পারতেন।
সাবেক বিচারপতি এস কে সিনহার বই প্রকাশ প্রসঙ্গে ওবায়দুল কাদের বলেন, তার লেখা বই তিনি প্রকাশ করবেন, এটাই স্বাভাবিক। তবে আমার শুধু একটাই প্রশ্ন, তা বিদেশের মাটিতে বসে কেন? আর নির্বাচনকে সামনে রেখে কেন? বইটি আরও দুই-তিন মাস পরেও প্রকাশ করা যেত।
মন্ত্রী আরো বলেন, বইটি এ সময়ে প্রকাশ করে সরকারবিরোধী অপপ্রচারের উসকানি এ সময় তিনি না দিলেও পারতেন সিনহা। সাবেক প্রধান বিচারপতি, তার মনে কষ্ট থাকতে পারে, জ্বালা থাকতে পারে, প্রধান বিচারপতি পদ থেকে তিনি নিজেই সরে গেছেন। এখন বিদেশে গিয়ে মনগড়া তথ্য দিয়ে তিনি সরকারবিরোধী মহলের অপপ্রচারের সুবিধার জন্য যদি এ সময় বইটি প্রকাশ করে থাকেন, তাহলে আমার মনে হয়, তিনি একজন প্রধান বিচারপতি ছিলেন, এখানে তার দায়িত্বশীলতার বিষয়টি প্রশ্নচিহ্ন হয়ে ঝুলে থাকবে।
ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন নিয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, এ ব্যাপারে বৃহস্পতিবার সংসদের সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পরিষ্কার বক্তব্য দিয়েছেন। এতে কারও আতঙ্কিত হওয়ার, উদ্বিগ্ন হওয়ার কারণ নেই। একটা আইন, প্রায়োগিক বাস্তবটাই সবচেয়ে বড় কথা। ডিজিটাল ক্রাইমকে মোকাবিলা করতেই ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন প্রণয়ন করা হয়েছে। এতে স্বাধীন সাংবাদিকতা এবং মতপ্রকাশের স্বাধীনতা বাধাগ্রস্ত হবে না, ক্ষতিগ্রস্ত হবে না। সেভাবেই আইনটি প্রয়োগ করা হবে।
যুক্তফ্রন্টকে স্বাগত জানিয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, বিভিন্ন দল ও নেতাদের ঐক্য প্রক্রিয়া, যুক্তফ্রন্টকে সরকার স্বাগত জানায়। তারা সভা–সমাবেশেরও অনুমতি পাচ্ছে। যারাই সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে সভা করতে চান, তাদের অনুমতি দেওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়েছে।
প্রকল্পের কার্যক্রম পরিদর্শনকালে গাজীপুর সিটি কর্পোরেশনের মেয়র মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম, গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের উপকমিশনার মো. আরিফুল ইসলাম, বিআরটির প্রকল্প পরিচালক প্রকৌশলী মো. সানাউল হক, সড়ক ও জনপথের অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী (ঢাকা জোন) আবদুস সবুর, তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী (ঢাকা সার্কেল) মো. সবুজ উদ্দিন খান, গাজীপুর সড়ক ও জনপথের নির্বাহী প্রকৌশলী নাহিন রেজা প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
বিচারপতি সিনহা তাঁর লেখা বইটিতে অভিযোগ করেছেন, তিনি বাধ্য হয়েছিলেন পদত্যাগ করতে। এরপরই বইটি নিয়ে আলোচনা-সমালোচনা সৃষ্টি হয়।
অনলাইন বাংলা নিউজ বিডি :/ এম ইউ
Leave a Reply