
ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর আমন্ত্রণে দু’দিনের সরকারি সফরে কলকাতা গেছেন প্রধানমন্ত্রী। সকালে বাংলাদেশ বিমানের একটি ভিভিআইপি ফ্লাইটে প্রধানমন্ত্রী ও তার সফরসঙ্গীরা শাহজালাল বিমানবন্দর থেকে কলকাতায় নেতাজী সুবাস চন্দ্র বসু আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছান। এরপর সেখান থেকে শেখ হাসিনা হেলিকপ্টারে কলকাতা থেকে প্রায় ১৮০ কিলোমিটার উত্তরে বীরভূম জেলার বোলপুর শান্তিনিকেতনে পৌঁছান। বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাবর্তন অনুষ্ঠানে যোগ দেন তিনি।
ভারতের পশ্চিমবঙ্গে অবস্থিত শান্তিনিকেতনের বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ে নির্মিত ‘বাংলাদেশ ভবন’-এর উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও দেশটির প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।
শুক্রবার (২৫ মে) বাংলাদেশ সময় ১২টা ৫৫ মিনিটে তারা বাংলাদেশ ভবনের উদ্বোধন করেন।সেখানে তাকে অভ্যর্থনা জানান বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য সবুজ কলি সেন। এরপর শান্তিনিকেতনের রবীন্দ্র ভবনে তাকে স্বাগত জানান নরেন্দ্র মোদী।
বাংলাদেশ ও ভারতের দীর্ঘদিনের বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের ধারাবাহিকতায় শান্তিনিকেতনে নির্মিত হয়েছে ‘বাংলাদেশ ভবন’।
বাংলাদেশ সরকারের অর্থায়নে ভবনটি নির্মাণ করেছে ভারতীয় নির্মাতা প্রতিষ্ঠান ‘ন্যাশনাল বিল্ডিং কনস্ট্রাকশন করপোরেশন (এনবিসিসি)’।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের সার্ধ-শত জন্মবার্ষিকীর স্মারক হিসেবে শান্তিনিকেতনে বাংলাদেশ ভবন নির্মাণের ইচ্ছা ব্যক্ত করেন। বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে ২০১১ সালের ৬ সেপ্টেম্বর স্বাক্ষরিত ‘ফ্রেমওয়ার্ক এগ্রিমেন্ট অন কো-অপারেশন ফর ডেভেলপমেন্ট’-এ তার এই আগ্রহ লিখিতরূপে স্থান পায়। সেই ধারাবাহিকতায় ভারতের বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয় ও বাংলাদেশের শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন পর্যায়ে আলাপ-আলোচনা ও মতবিনিময়ের পর প্রাসঙ্গিক ধারণাপত্র তৈরি, স্থান নির্বাচন, কারিগরি নকশা প্রণয়ন, ব্যয় প্রাক্কলন তেরি ইত্যাদি সম্পন্ন করে ২০১৬ সালের শেষভাগে বাংলাদেশ ভবনের নির্মাণকাজ শুরু করা হয়।
বাংলাদেশের পক্ষে শিক্ষা মন্ত্রণালয় এ ভবন নির্মাণের জন্য ৪৩ কোটি ৯২ লাখ টাকা অর্থায়ন করে।বাংলাদেশ ভবনের জন্য জমির পরিমাণ ৮ বিঘা সমপরিমাণ বা প্রায় ২.৭৫ একর।
ভবনে ৪৫৩ আসনবিশিষ্ট একটি আধুনিক অডিটোরিয়াম, দু’টি সেমিনার হল, গ্রন্থাগার, জাদুঘর, ক্যাফেটোরিয়া ও আর্কাইভ স্টুডিও রয়েছে। অডিটোরিয়ামে আলো ও শব্দের যথাযথ প্রক্ষেপণ সংস্থান করা হয়েছে।
এর মাধ্যমে ভারতের সঙ্গে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কে আরো এক ধাপ এগিয়ে গেল বাংলাদেশ। এই সম্পর্ক বজায় রেখেই অমীমাংসীত সব সমস্যা সমাধানের চেষ্টা করবে দুই দেশ।
অনলাইন বাংলা নিউজ বিডি :/ এস এস
Leave a Reply