
প্রতিবন্ধী মেয়ে ছন্দা মল্লিকের (১৪) সুস্থতার জন্য ডাক্তার, কবিরাজসহ বিভিন্ন ধামে গিয়ে মান্নত করে আসছিলাম। এরই মধ্যে গত প্রায় ছয় মাস ধরে স্বপ্নে দেখছিলাম, বাড়ির পাশে পুকুরে থাকা ‘মা কালী’কে ঘরে তুলে পূজা-অর্চণা করলে মেয়ে সুস্থ হয়ে উঠবে। নিজের বসতঘরটি ছাড়া আর কোন ঘর না থাকায় মা’কে কোথায় রেখে সেবা করবো এ আশংকায় স্বপ্নে দেখা মা কালীকে ঘরে তুলতে পারছিলাম না। কথাগুলো বলছিলেন যশোরের মণিরামপুরের কুশখালি গ্রামের প্রভাত মল্লিকের স্ত্রী ঝরণা মল্লিক।
অবশেষে ঘটনার দিন শুক্রবার স্বপ্নে দেখা মা কালীর ডাকে সাড়া দিয়ে পুকুর পাড়ের চারিপাশে কীর্তন গেয়ে ঢাক বাজিয়ে ঝরণা মল্লিক পুকুরে ডুব দিয়ে মা কালীর মূর্তি পেয়ে ঘরে নিয়ে আসেন। এরপর খবর রটে যায় ঝরণা মল্লিক কষ্টি পাথরের কালী মূর্তি পেয়েছেন। চারিদিকে তোলপাড় শুরু হয়। এক পর্যায়ে খবর পেয়ে মণিরামপুর থানা পুলিশ ওই গ্রামে গিয়ে মূর্তিটি উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসেন। কালী মূর্তিটি একনজর দেখার জন্য থানায় বিভিন্ন বয়সী নারী-পুরুষের ভীড় জমে যায়।
থানার ওসি সহিদুল ইসলাম জানান, উদ্ধারকৃত কালী মূর্তিটি যাচাই-বাছাই করে জানতে পারেন সেটি কষ্টি পাথরের না। এক পর্যায়ে ঝরণার মল্লিকের ধর্মীয় বিশ্বাসের মূল্য দিয়ে শুক্রবার রাত ৮টার দিকে ফেরত দেয়া হয়।
অনলাইন বাংলা নিউজ বিডি:/আমিরুল ইসলাম
Leave a Reply