
চট্টগ্রামের ১৬টি আসনের অধিকাংশেই পুরনোদের পাশাপাশি অনেক নতুন মুখ বিএনপির দলীয় মনোনয়ন পেয়েছেন।
বিশেষ করে গত কয়েক বছর যেসব তরুণ নেতা আন্দোলন-সংগ্রামে মাঠে ছিলেন, তাদের অনেকেই বিকল্প প্রার্থী হিসেবে দলের মনোনয়ন পেয়েছেন।
মঙ্গলবার গভীর রাত পর্যন্ত দলীয় মনোনয়নের চিঠি দেয়ার পর বুধবার তারা চট্টগ্রামে এসে মনোনয়নপত্র দাখিল করেন।
গ্রেফতার, হয়রানিসহ নানা ঝুঁকি এড়াতে বিএনপি একাধিক প্রার্থী মনোনয়ন দেয়ার পথ বেছে নিলেও এ নিয়ে বিভ্রান্তিতে পড়েছেন তৃণমূলের নেতাকর্মীরা। শেষ পর্যন্ত কে লড়বেন দলের হয়ে, বুঝতে পারছেন না তারা।
তবে এক বা একাধিক প্রার্থী যেখানে আছে, সেখানে তালিকায় যাকে এক নম্বরে রাখা হয়েছে, তাকেই নির্বাচনের মাঠে রাখা হবে- এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছে দলটি।
তালিকার এক নম্বর মনোনয়নপ্রাপ্ত ব্যক্তি যদি মামলা-হামলা বা অন্য কোনো কারণে নির্বাচন করতে না পারেন, তবে পর্যায়ক্রমে দুই বা তিন নম্বর প্রার্থীকে নির্বাচনের মাঠে রাখা হবে।
মনোনয়ন দেয়ার সময় প্রার্থীদের এ বিষয়টি পরিষ্কার করে দেয়া হয়েছে, যাতে পরবর্তী সময়ে কোনো প্রার্থী সমস্যা করতে না পারেন। তবে যেসব আসনে একাধিক প্রার্থী দেয়া হয়েছে, সেসব আসনে দলীয় কোন্দল আরও চাঙ্গা হয়ে উঠতে পারে বলেও মনে করা হচ্ছে।
এদিকে চট্টগ্রামে এবারই প্রথম নির্বাচনে নেই সালাহউদ্দিন কাদের চৌধুরীর পরিবারের কোনো সদস্য। তার স্ত্রী ফরহাত কাদের চৌধুরী ও ছেলে হুম্মাম কাদের চৌধুরী নির্বাচন করতে পারেন- এমন গুঞ্জন দীর্ঘদিন ধরে শোনা গেলেও তারা দলীয় মনোনয়ন চাননি বা নির্বাচনে আগ্রহ দেখাননি বলে সংশ্লিষ্ট সূত্র জানিয়েছে। সাকা পরিবারের সদস্যরা দেশের বাইরে রয়েছেন বলেও সূত্র জানিয়েছে।
তাদের অনুপস্থিতিতে উত্তর চট্টগ্রামের দুটি আসন ফটিকছড়ি ও রাঙ্গুনিয়ায় বিএনপি হেভিওয়েট কোনো প্রার্থী দিতে পারেনি। অনেকটা নতুন ও আনকোরা প্রার্থীরাই সেখানে মনোনয়ন পেয়েছেন। ফলে ভোটের আগেই লড়াইয়ে এই দুই আসনে বিএনপি একপ্রকার পিছিয়ে পড়েছে বলে মনে করা হচ্ছে। হেভিওয়েট প্রার্থী না থাকায় এসব আসনের তৃণমূল নেতাকর্মীরা হতাশ হয়ে পড়েছেন।
অপরদিকে তুলনামূলক সুবিধাজনক অবস্থানে রয়েছেন ওই দুই আসনের মহাজোট প্রার্থীরা।
মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সাকা চৌধুরীর ফাঁসির দণ্ড কার্যকর হওয়ার পর থেকে ওই পরিবার রাজনীতিতে অনেকটা কোণঠাসা। এবারের নির্বচন সামনে রেখে বিএনপির সাধারণ নেতাকর্মীদের মধ্যেও ব্যাপক আগ্রহ ছিল সাকা চৌধুরীর পরিবার নিয়ে।
কিন্তু শেষ পর্যন্ত ওই পরিবারের কেউ নির্বাচন করছেন না। মূলত এর মাধ্যমে চট্টগ্রামের তথা দেশের রাজনীতি থেকেও সাকা পরিবারের বিদায় হয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে।
এবার ফটিকছড়ি থেকে সাকা চৌধুরীর স্ত্রী ফারহাত কাদের চৌধুরী, রাঙ্গুনিয়া থেকে ছেলে হুম্মাম কাদের চৌধুরী মনোনয়ন পেতে পারেন বলে গুঞ্জন ছিল। তবে শেষ পর্যন্ত তাদের কেউই বিএনপির মনোনয়নে নির্বাচন করছেন না। দলীয় সূত্র জানায়, সাকা চৌধুরীর স্ত্রী ও ছেলে নিজ থেকেই প্রার্থী হতে আগ্রহী হননি।
অনলাইন বাংলা নিউজ বিডি :/ সাহাজুল ইসলাম
Leave a Reply