
জাতিসংঘের চলতি ৭৩তম অধিবেশনের তৃতীয় কমিটির আওতায় ‘আন্তর্জাতিক মাদক নিয়ন্ত্রণ’ বিষয়ে আলোচনা চলেছে বৃহস্পতিবার। এই আলোচনায় বক্তব্য রাখেন জাতিসংঘে বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি রাষ্ট্রদূত মাসুদ বিন মোমেন।
তাঁর বক্তব্যে মোমেন বলেন, মাদকের ছোবল প্রতিরোধে সর্বোচ্চ সতর্কতা ও জিরো টলারেন্স নীতি গ্রহণ করেছে বাংলাদেশ। এই অপরাধের সঙ্গে যারা জড়িত তাদের কঠিন হাতে মোকাবিলা করছে বর্তমান সরকার। এজেন্ডার আলোচনায় অংশ নিয়ে বৃহস্পতিবার একথা বলেন তিনি।
রাষ্ট্রদূত মাসুদ তার বক্তব্যে সম্প্রতি ২৪ সেপ্টেম্বর জাতিসংঘের ৭৩তম অধিবেশনের হাই-লেভেল সপ্তাহে ‘গ্লোবাল কল টু অ্যাকশান অন ওয়ার্ল্ড ড্রাগ প্রবলেম’শীর্ষক উচ্চ পর্যায়ের ইভেন্টে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার যোগদান এবং সেখানে বিশ্ব মাদক সমস্যার কার্যকর সমাধান ও প্রতিরোধে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ বিশ্বনেতৃবৃন্দ যে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন তার উল্লেখ করেন।
তিনি বলেন, মাদকের ছোবলে আমাদের যুব সমাজের ভবিষ্যত নষ্ট হোক তা কোনভাবেই আমরা হতে দিব না। মাদক নিয়ন্ত্রণ, মাদকের অবৈধ ব্যবসা ও চোরাচালান বন্ধে সরকারের বিভিন্ন সংস্থা যে সকল কর্মসূচি বাস্তবায়ন করে যাচ্ছে তার উল্লেখ করেন তিনি। এক্ষেত্রে প্রতিবেশী দেশসমূহের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর এবং সীমান্তে মাদক নিয়ন্ত্রণে ঘনিষ্ট সহযোগিতা রক্ষার মাধ্যমে বাংলাদেশ কাজ করে যাচ্ছে মর্মে উল্লেখ করেন স্থায়ী প্রতিনিধি।
রাষ্ট্রদূত মাসুদ বলেন, আমরা বিশ্বাস করি, আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় সম্মিলিত প্রচেষ্টা, রাজনৈতিক প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়ন এবং অংশীদারিত্বের ভিত্তিত্বে মাদকের অভিশাপ থেকে রক্ষা পেতে কার্যকর প্রতিরোধ ও নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা গড়ে তুলতে সক্ষম হবে।
মাদক একটি দেশের যুবসমাজের জন্য হুমকিস্বরূপ। অচিরেই এর মূলোৎপাটন করতে না পারলে তা বিপর্যয় ডেকে নিয়ে আসতে পারে। এর বিরুদ্ধে তাই জিরো টলারেন্স নীতি গ্রহন করতে হবে।
অনলাইন বাংলা নিউজ বিডি :/ মোঃ মোস্তফা কামাল
Leave a Reply