
কোটা সংস্কারের দাবীর আন্দোলনে উত্তাল বাংলাদেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। বিগত কয়েক মাস ধরেই এমনটি হয়ে আসছে। এর সঙ্গে সম্পৃক্ত হয়ে পড়ছে রাজনৈতিক দলের সংগঠনগুলোও।
এবার কোটার দাবিতে আন্দোলন শুরু হলো পার্শ্ববর্তী দেশ ভারতেও। চাকরি ও শিক্ষাক্ষেত্রে সংরক্ষণের দাবিতে একাধিক মারাঠি সংগঠনের ডাকা বনধে গোলমাল ছড়াচ্ছে মুম্বই সহ রাজ্যের বিভিন্ন অংশে। ট্রেন, হাইওয়ে অবরোধ করছে বনধ সমর্থনকারীরা। মুম্বই ও সংলগ্ন এলাকায় কোনও কোনও জায়গায় বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে ইন্টারনেট পরিষেবা। বিভিন্ন জায়গায় স্কুল-কলেজ বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।
মারাঠা ক্রান্তি সেনা মহারাষ্ট্রে বনধ ডাকার পাশাপাশি মুম্বই ও সংলগ্ন এলাকায় বনধ ডেকে দেয় সকল মারাঠা সমাজ। নভি মুম্বই ও পানভেলে বনধের জোরাল প্রভাব পড়েছে।
আন্দোলনকারীরা এদিন সাতসকালেই চেম্বুরে মুম্বইগামী ইস্টার্ন হাইওয়ে অবরোধ করে দেয়। থানের গোখেল রোড সহ বিভিন্ন এলাকায় জোর করে দেকানপাট বন্ধ করে দেয় আন্দোলনকারীরা। মারাঠা ক্রান্তি মোর্চার কর্মীরা বান্দ্রার বিভিন্ন জায়গায় দোকান বন্ধ রাখার অনুরোধ করে। যোগেশ্বরীতে ট্রেন লাইনে বসে পড়ে আন্দোলন কারীরা। তাদের সরিয়ে দেয় আরপিএফ।
এদিকে, লাতুরে বনধ সমর্থনকারীরা জোর করে দোকান বন্ধ করতে গেলে দুদলের সঙ্গে সংঘর্ষ বেধে যায়। পুলিস এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে। রায়গড় ও কামোথে বনধ সমর্থকরা বাইক মিছিল বের করে। দোকানপাটের ওপরে পাথর ছোংড়াও অভিযোগ উঠছে।
আন্দোলনকারীরা মুম্বইয়ের বিভিন্ন এলাকায় বাস ভাঙচুর করে বনধ সমর্থকরা। এখনও পর্যন্ত ৯টি সরকারি বাস ভাঙচুরের খবর পাওয়া যাচ্ছে। মালাডে ও ওয়াগলে ভাঙচুর করে বিক্ষোভকারীরা।
উল্লেখ্য, সোমবার গোদাবরী নদীতে ঝাঁপ দিয়ে আত্মঘাতী হন কাকাসাহেব সিন্ডে নামে এক আন্দোলনকারী। তাতেই আন্দোলন আরও তীব্র হয়ে ওঠে। ওই মৃত্যুর পরই মুম্বই ও সংলগ্ন এলাকায় বনধ ডাকে মুম্বই ক্রান্তি মোর্চা।
প্রসঙ্গত, রাজ্যে ৩৩ শতাংশ মানুষ মারাঠা সম্প্রদায়ের। চাকরি ও শিক্ষায় এদের ১৬ শতাংশ সংরক্ষণ দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী দেবেন্দ্র ফড়নবিশ। কিন্তু মারাঠা সংগঠনগুলির দাবি তাদের পিছিয়েপড়া শ্রেণির মর্যাদা দিতে হবে।
আত্মহত্যার কারনে এই আন্দোলন ভিন্ন মাত্রা যোগ করল। এবার দেখার বিষয়, ভারতের প্রশাসন আন্দোলন বন্ধে কী কার্যকরী ভূমিকা নিতে পারে।
অনলাইন বাংলা নিউজ বিডি :/ এম ইউ
Leave a Reply