
চালকদের ড্রাইভিং লাইসেন্স কোন যোগ্যতার ভিত্তি দেয়া হয় এবং সড়কে চলাচলকারীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে বিআরটিএ কি পদক্ষেপ নিয়েছে সে বিষয়ে একটি প্রতিবেদন দাখিল করতে বিআরটিএকে নির্দেশ দিয়েছিলেন হাইকোর্ট গত ৩০ জুলাই।
হাইকোর্টের এমন আদেশের বিষয়ে প্রতিবেদন দাখিল করেছে বাংলাদেশ রোড ট্রান্সপোর্ট অথরিটি (বিআরটিএ)। ওই প্রতিবেদনে যে ক্রাইটেরিয়ার ভিত্তিতে পেশাদার ড্রাইভিং লাইসেন্স ইস্যু বা নবায়ন করা হয় তা উল্লেখ করা হয়েছে।
এ প্রতিবেদন দাখিলের পর গতকাল বিচারপতি জে বি এম হাসান ও বিচারপতি মো: খায়রুল আলমের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট ডিভিশন বেঞ্চ পরবর্তী আদেশের জন্য ৭ অক্টোবর দিন ধার্য করেন।
এ প্রতিবেদনের একটি অংশে (অ্যানেক্সার-১১) বাংলাদেশ রোড ট্রান্সপোর্ট অথরিটি থেকে পাবলিক ট্রান্সপোর্ট চালানোর পেশাদার ড্রাইডিং লাইসেন্স ইস্যু/নবায়নের ক্ষেত্রে যোগ্যতা/শর্ত (criteria) কথা উল্লেখ করা হয়েছে।
নতুন ইস্যুর ক্ষেত্রে যেসব যোগ্যতার কথা বলা হয়েছে সেগুলো নিচে দেয়া হলো:
১. বাংলা অথবা ইংরেজি লিখতে ও বলতে পারা;
২. প্রার্থীর বয়স ২০ বছর হওয়া;
৩. রেজিস্টার্ড ডাক্তার প্রদত্ত স্বাস্থ্য পরীার ঊপযুক্ততার মানদণ্ডে উত্তীর্ণ হয়ে শিক্ষানবিশ ড্রাইভিং লাইসেন্স গ্রহণ করা;
৪. শিানবিশ ড্রাইভিং লাইসেন্সের মেয়াদ কমপক্ষ দুই মাস অতিক্রান্ত হওয়ার পর ড্রাইভিং কম্পিটেন্সি টেস্ট বোর্ড পরিচালিত পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করা;
৫. ড্রাইভিং কম্পিটেন্সি টেস্ট বোর্ড পরিচালিত পরীক্ষায় লিখিত, মৌখিক ও ব্যবহারিক পরীায় কৃতকার্য হওয়া;
৬. আবেদনকারীর স্থায়ী ঠিকানার পুলিশ যাচাই প্রতিবেদন সঠিক হওয়া;
৭. রেজিস্টার্ড ডাক্তার প্রদত্ত স্বাস্থ্য পরীক্ষার উপযুক্ত মানদণ্ডে উত্তীর্ণ হওয়া;
৮. কমপক্ষে তিন বছর হালকা বা মধ্যম শ্রেণীর মোটরযান চালানোর অভিজ্ঞতা না থাকলে কোনো আবেদনকারী মধ্যম বা ভারী (যে ক্ষেত্রে যেটা প্রযোজ্য) মোটরযান চালানোর ড্রাইভিং লাইসেন্সের জন্য আবেদন করতে পারবে না। তবে শর্ত থাকে যে, উপযুক্ত বলে বিবেচিত কোন শ্রেণীর লোকজনকে সরকার এই বিধির কার্যকারিতা থেকে অব্যাহতি দিতে পারবে।
৯. কমপক্ষে তিন বছর হালকা বা মধ্যম শ্রেণীর মোটরযান চালানোর অভিজ্ঞতা থাকাসাপেক্ষ আবেদনকারী মধ্যম বা ভারী (যে ক্ষেত্রে যেটা প্রযোজ্য) মোটরযান চালানোর ড্রাইভিং লাইসেন্সের জন্য আবেদন করার ক্ষেত্রে পূর্বানুরূপে সংশ্লিষ্ট শ্রেণীর শিক্ষানবিশ ড্রাইভিং লাইসেন্স গ্রহণ করা এবং এর মেয়াদ কমপক্ষে দুই মাস অতিক্রান্ত হওয়ার পর ড্রাইভিং কমপিটেন্সি টেস্ট বোর্ড পরিচালিত পরীক্ষায় কৃতকার্য হওয়া;
১০. পরিবহন যানের চালকদের আঞ্চলিক পরিবহন কমিটি (আরটিসি) থেকে ইস্যু করা পাবলিক সার্ভিস ভেহিকল অথরাইজেশন (পিএসভি) প্রাপ্ত হওয়া।
নবায়ন : ১. মোটরযান পরিদর্শক পরিচালিত ফিল্ড টেস্টে কৃতকার্য হওয়া;
২. প্রার্থীদের রেজিস্টার্ড ডাক্তার প্রদত্ত স্বাস্থ্য পরীক্ষায় (উপযুক্ততার মানদণ্ডে) উত্তীর্ণ হওয়া।
আদালতে পরিবহন জাবালে নূরের পে ছিলেন আইনজীবী পঙ্কজ কুমার কুণ্ডু। বিআরটিএর পে ছিলেন রফিকুল ইসলাম। রিট আবেদনের পক্ষ ছিলেন আবেদনকারী আইনজীবী ব্যারিস্টার রুহুল কুদ্দুস কাজল।
পরে রুহুল কুদ্দুস কাজল বলেন, বিআরটিএর প্রতিবেদনে বলা হয়েছে জাবালে নূর দুই পরিবারকে পাঁচ লাখ টাকা করে দেবে। এ জন্য তারা সময় চেয়েছিল। কিন্তু আদালত সময় দেননি।
এ দিকে চালকদের ড্রাইভিং লাইসেন্স কোন যোগ্যতার ভিত্তি দেয়া হয় এবং সড়কে চলাচলকারীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে বিআরটিএর নেয়া পদেেক্ষপর প্রতিবেদন নিয়ে শুনানির জন্য ৭ অক্টোবর দিন ঠিক করেছেন।
উপরে উল্লিখিত সকল নিয়ম কানুন মেনে ড্রাইভিং লাইসেন্স দেয়া হলে দুর্ঘটনা অনেকাংশে কমানো সম্ভব হবে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা। এছাড়াও আমাদের জনসাধারনকে সচেতন হতে হবে, নাহলে এসব পদক্ষেপ বিফলেই যাবে।
অনলাইন বাংলা নিউজ বিডি :/ এম ইউ
Leave a Reply