
রোববার সচিবালয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন। সামনে আসন্ন জাতীয় নির্বাচন এবং এর ঠিক পরের দিনই বছরের শেষ দিন।
নির্বাচনী ডামাডোলের কারণে এবার ইংরেজি নতুন বছরের প্রথম প্রহরে সব ধরনের উদযাপন নিষিদ্ধ করেছে সরকার। আগামী ৩০ ডিসেম্বর একাদশ সংসদ নির্বাচন। তাই ভোটের তারিখ ও থার্টিফার্স্ট নাইট কাছাকাছি সময়ে হওয়ায় এই ব্যবস্থা নিয়েছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
এ উপলক্ষ্যে থার্টিফার্স্টে কোথাও কোনো অনুষ্ঠান আয়োজন করে সেখানে ডিজে পার্টি করা, আতশবাজি কিংবা পটকা ফোটানো যাবে না বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।
আন্তর্জাতিকমানের হোটেলগুলো ছাড়া অন্যান্য বারগুলোতে ৩১ ডিসেম্বর বিকেল থেকে পরদিন বিকাল পর্যন্ত বিক্রি বন্ধ থাকবে। এই সময়ের মধ্যে বৈধ আগ্নেয়াস্ত্র নিয়েও ঘোরাঘুরি করা যাবে না।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, থার্টিফার্স্টের আগে ২৫ ডিসেম্বর খ্রিস্টান ধর্মাবলম্বীদের বড় ধর্মীয় উৎসব বড়দিন উপলক্ষ্যে ব্যাপক নিরাপত্তা ব্যবস্থা হাতে নেওয়া হয়েছে। সারাদেশে সাড়ে তিন হাজার গির্জায় বড়দিন উপলক্ষ্যে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে। বড়দিনেও আতশবাজি, পটকা ফোটানো যাবে না। বড়দিন উপলক্ষ্যে গির্জাগুলোর প্রবেশপথে থাকবে আর্চওয়ে। এছাড়া কূটনীতিক পাড়ায় বিশেষ নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে বলেও তিনি জানান।
বড়দিন পালনে যথাযথ নিরাপত্তা ব্যবস্থা দেয়া রাষ্ট্রের দায়িত্ব। নির্বাচনের পরদিনও নিরাপত্তার স্বার্থেই থার্টি ফার্স্ট উদযাপনে বাধা দিচ্ছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।
অনলাইন বাংলা নিউজ বিডি :/ সাহাজুল ইসলাম
Leave a Reply