
আজ মঙ্গলবার (০৪ সেপ্টেম্বর) বেলা সাড়ে ১১টায় নয়াপল্টনে দলীয় কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলন করা হয় বিএনপির পক্ষ থেকে। সম্মেলনে বক্তব্য রাখেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম-মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।
তিনি বলেন, সরকার পতনের মহালগ্ন এসে গেছে। দাপট দেখিয়ে গণদাবি উপেক্ষা করলে গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনার আন্দোলন তীব্র থেকে তীব্রতর হবে।
রিজভী বলেন, আর কোনো উপায় নেই। সরকারকে ক্ষমতা ছাড়তেই হবে। প্রধানমন্ত্রীর সংবাদ সম্মেলনের বক্তব্যে দাপট থাকলেও তার চেহারায় ছিল অন্যমনষ্ক ও দুশ্চিন্তার ছাপ। সুস্পষ্টভাবে আবারও উল্লেখ করতে চাই, গণদাবি উপক্ষো করলে গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনার আন্দোলন তীব্র থেকে তীব্রতর হবে।
‘জাতীয় ঐক্যের নামে সাম্প্রদায়িক চক্রান্ত হচ্ছে’ ওবায়দুল কাদেরের এ বক্তব্যের জবাবে রিজভী বলেন, আকস্মিকভাবে সাম্প্রদায়িক বিভাজনের আওয়ামী নেতার বক্তব্য অশুভ চক্রান্তের ইঙ্গিতবাহী। আবহমান বাংলাদেশের সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতিকে বিনষ্টকরে সমাজে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির মাধ্যমে ঘোলা পানিতে মাছ শিকার করতে নেমে পড়েছেন ওবায়দুল কাদেররা। তারা ক্ষমতায় থাকার জন্য রাষ্ট্র সমাজের স্থিতিকে ভেঙে ফেলতে গভীর ষড়যন্ত্রে লিপ্ত।
‘বিএনপি ক্ষমতায় এলে এক লাখ মানুষকে হত্যা করা হব’ বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদের এ বক্তব্যের জবাবে রিজভী বলেন, এ তথ্য কোনো পরিসংখ্যান ব্যুরো থেকে তিনি সংগ্রহ করেছেন? রিজভী জানতে চান, এ তথ্যের উৎস কি হাসানুল হক ইনু, না সজিব ওয়াজেদ জয় ?
এক লাখ লোক মারা যাওয়ার আশঙ্কা করছেন কেন তোফায়েল আহমেদ? আপনাদের কোনো অপকর্মের কারণে এ আশঙ্কা করছেন? বিএনপিতো এর আগে অনেকবার ক্ষমতায় এসেছে কিন্তু কোথাওতো রক্তক্ষরণের কোনো দৃষ্টান্ত নেই।
দেশব্যাপী আবারও নতুন করে বিশেষ ক্ষমতা আইনে অথবা নিজেরাই নাশকতার মতো ঘটনা ঘটিয়ে বিএনপি ও অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মীদের নামে মামলা দিয়ে নির্বিচারে গ্রেফতার করছে অভিযোগ করেন রিজভী। তিনি বলেন, গত কয়েক দিনে প্রায় ৪ শতাধিক নেতা-কর্মীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। সরকার আতঙ্কে ভুগছে বলেই এ গ্রেফতার শুরু করেছে। তিনি অবিলম্বে গ্রেফতারকৃতদের মুক্তি দাবি করেন।
সংবাদ সম্মেলনে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান প্রফেসর ডা. এজেড এম জাহিদ হোসেন, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আবুল খায়ের ভূইয়া, প্রচার সম্পাদক শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানি, স্বেচ্ছাসেবক বিষয়ক সম্পাদক মীর শরফত আলী সপু, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুস সালাম আজাদ, জাসাসের সাধারণ সম্পাদক চিত্র নায়ক হেলাল খান প্রমুখ।
আসন্ন জাতীয় নির্বাচনকে ঘিরে দুটো দলই দুই বিপরীত মেরুতে অবস্থান করছে। তবে সুষ্ঠু গনতন্ত্র চর্চার জন্যে এই অবস্থা থেকে উত্তরণ প্রয়োজন। সকলকে একসাথে এগিয়ে এসেই দেশ পরিচালনা করতে হবে।
অনলাইন বাংলা নিউজ বিডি :/ এম ইউ
Leave a Reply