
কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামে আট বছর বয়সের তৃতীয় শ্রেণির এক ছাত্রীকে ছাত্রীকে ধর্ষণের পর হত্যা করা হয়েছে। এ ঘটনায় উত্তেজিত এলাকাবাসী ধর্ষক মোহাম্মদ আলী বাপ্পীসহ তার সহযোগী ৪ জনের বাড়ি-ঘর জ্বালিয়ে দিয়েছে।
শনিবার সকালে উপজেলার শ্রীপুর ইউনিয়নের গজারিয়া এলাকার কাকড়ি নদী থেকে ধর্ষিতার লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। পুলিশ মূল অভিযুক্ত বাপ্পীকে গ্রেপ্তার করেছে। গ্রেপ্তারকৃত বাপ্পী পুলিশের কাছে ঘটনায় দায় স্বীকার করে জবানবন্দি প্রদান করেছে।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানায়, ধর্ষণের শিকার শিশুটির পিতার সঙ্গে টাকা পয়সার লেনদেন নিয়ে বিরোধের জের ধরে মারামারি হয় জাকারিয়ার ছেলে বখাটে মোহাম্মদ আলী বাপ্পীর। এ নিয়ে ক্ষুব্ধ বাপ্পী প্রতিশোধ নিতে শুক্রবার বিকেলে কৌশলে তৃতীয় শ্রেণির শিক্ষার্থী শিশুটিকে অপহরণ করে। রাতে তাকে ধর্ষণ করে গলায় মুখে ওড়না পেঁচিয়ে শ্বাসরোধ করে হত্যার পর লাশ কাকড়ি নদীতে
ফেলে দেয়। সকালে স্থানীয়রা লাশ উদ্ধার করে সন্দেহভাজন বাপ্পীকে আটক করে গণধোলাই দিলে সে পুলিশ এবং স্থানীয়দের কাছে ঘটনার কথা স্বীকার করে। এ সময় উত্তেজিত জনতা বাপ্পী এবং তার কয়েকজন সহযোগীর বাড়ি-ঘর আগুন দিয়ে জ্বালিয়ে দেয়।
চৌদ্দগ্রাম থানার ওসি মাহফুজুর রহমান জানান, ধর্ষিতার লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য কুমেক হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে। ঘটনার মূল হোতা বাপ্পীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। স্থানীয়দের অভিযোগের ভিত্তিতে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আরও ৫জনকে থানায় আনা হয়েছে।
অনলাইন বাংলা নিউজ বিডি:/আমিরুল ইসলাম
Leave a Reply